মাদারীপুরের কালকিনিতে রাতের আঁধারে পাখি বেগম (২৮) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার উত্তর মাঝেরকান্দি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত পাখি বেগম ওই গ্রামের সৌদী প্রবাসী সোহাগ হাওলাদারের স্ত্রী। এদিকে, খবর পেয়ে সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীর স্ত্রী পাখি বেগম রাতের খাবার খেয়ে পাঁচ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা বসতঘরের চালে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে। সেই ইট-পাটকেলের শব্দে পাখি বেগম দরজা খুলে বাহিরে আসেন। এ সুযোগে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে শিশু সন্তানের সামনেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে ওই শিশুর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহতের শাশুড়ি নাজমা বেগম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমার পুত্রবধূকে খুন করা হয়েছে। খুনের ঘটনার সময় আমার দেবরের স্ত্রী পলী বেগম তার বাড়িতে বসে ঢোল-টগর পিটিয়ে নাচগান করেছে। যাতে করে খুনের ঘটনা কেউ টের না পায়। পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়েছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার বিমল চন্দ্র বর্মন জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে পাখি বেগরে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় পাখির বুঁকের উপর ছুরি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্যে মরদেহ মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাবাসাদের জন্যে এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে থানা ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের মা সারমিন বেগম, নিহতের শাশুড়ি নাজমা বেগম, আত্মীয় মারিয়া, মাকসুদা, নুরজাহান, রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমানসহ স্থানীয় প্রতিবেশীরা।