ব্যালট বক্সের সাথে ছাত্রদল নেতা, সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট

রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। একই সঙ্গে ২১টি হল সংসদেরও নির্বাচন। এ নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট দেওয়া নিয়ে বিভক্তি তৈরি হয়েছে প্রার্থীদের মাঝে। পাশাপাশি ভোট গণনায় সক্রিয় মেশিন ব্যবহারের কথা থাকলেও তা নিয়েও দোলাচলে প্রার্থীরা। যা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি জাকসু নির্বাচন কমিশন।

এ নিয়ে বুধবার রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় প্রার্থীদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে জাকসু নির্বাচন কমিশনে আসেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম, ছাত্রদলের ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী মো.শেখ সাদি হাসান ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) প্রার্থী সোহাগী সামিয়া। এ সময় তারা জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তারের কাছে পোলিং এজেন্ট না রাখা ও ভোটগণনা পদ্ধতি ম্যানুয়াল করার দাবি জানান।

তাদের দাবি, সব প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট রাখার মত লোকবল নেই। একই সঙ্গে ভোট গণনায় স্বচ্ছতার জন্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে হবে। তবে ভিন্নমত ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলনের প্রার্থীদের।

সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব আমার দেশকে বলেন, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পোলিং এজেন্ট লাগবেই। শুধু সিসি ক্যামেরায় অনিয়ম প্রতিরোধ সম্ভব নয়। একই সঙ্গে, সক্রিয় মেশিন ছাড়া হাতে গণনা করলে অনিয়মের সুযোগ থাকে। তাই, আমরা ম্যানুয়াল পদ্ধতি চাই না।

একই কথা বলেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলনের ভিপি প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু আমার দেশকে বলেন, পোলিং এজেন্ট না থাকলে নির্বাচনে জালিয়াতির ঝুঁকি থাকবে। আমরা ইতোমধ্যেই দেখছি নির্বাচন বানচালের জন্য নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। কারা করছে আমরা দেখছি। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম আমার দেশকে বলেন, এজেন্ট থাকা-না থাকা নিয়ে বিভিন্ন প্রার্থীদের ভিন্ন মত দেখা যাচ্ছে। বসে ঠিক করব থাকবে কিনা। তবে ভোট গণনার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

মোট ২১টি কেন্দ্র
আল বেরুনি হল

সালাম-বরকত হল

কামাল উদ্দিন হল

ভাসানী হল

১০ নং ছাত্র হল (বঙ্গবন্ধু হল)

মীর মশাররফ হল

রফিক জব্বার হল

রবীন্দ্রনাথ হল

২১ নং হল

তাজউদ্দীন হল

কাজী নজরুল হল

ফয়জুন্নেসা হল

খালেদা জিয়া হল

শেখা হাসিনা হল

জাহানারা ইমাম হল

প্রীতিলতা হল

সুফিয়া কামাল হল

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হল

রোকেয়া হল

ফজিলাতুন্নেছা হল

তারামন বিবি হল