ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা উপলব্ধি করতে পেরেছে ছবির রাজনীতি, ব্যানারের রাজনীতি এখানে খাটবে না, দুয়ারে দুয়ারে যেতে হবে। মিষ্টি মধুর আলাপ করতে হবে, কথা শুনতে হবে। ভোটারের পরামর্শ নিতে হবে। এ যে যেমন আমি যাদের কাছেই গেছি ,বলেছি ‘নিজের জন্য ভোট চাইছি না, যোগ্য মনে হলে তবেই দিবেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য সর্ব মিত্র চাকমা।
আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, মাঝে মাঝে কিছু ভাবনা উঁকি দেয়, আমাদের মতো বোকা-সোকা, নিরক্ষর মানুষের দেশে নির্বাচন জিনিসটা স্রেফ প্রহসন। একশো-পাঁচশো টাকা গুঁজে দিয়ে ভোটটা কেনা যায়। প্রার্থীদের কাছে নির্বাচনী ইশতেহার একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র, না দিলে খারাপ দেখায় তাই দিতে হবে। পাঁচ বছর পর মানুষরা আর ভাবেই না যাকে আমি ভোটটা দিলাম, সে কতটুকু তার কথা রাখতে পেরেছে। অথচ, কাছের মানুষ বিকেলে ঘুরতে নিয়ে যাব কথা দেয়ার পর কথার খেলাপ করলে আমরা কত শত অভিমান করে বসে থাকি! আর এদিকে পাঁচটা বছরের প্রমিজ!
ডাকসুর এ কার্যনির্বাহী সদস্য লেখেন, নারী শিক্ষার্থীদের ‘ভোট ব্যাংক’ হিসেবে বোকা বানাতে চেয়েছিলেন কেউ কেউ, নারী শিক্ষার্থীরা একটা হাসি দিয়ে তাদের রিয়েলিটি বুঝিয়ে দিতেন, ‘এক বছরের মধ্যে হল করে দেয়া সম্ভব না আমরাও জানি, বাস্তবসম্মত কথা বলেন। মানুষগুলো মিষ্টি মধুর আলাপে বোকা বনে যায়নি, সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছেন প্রার্থীদের মিথ্যা কথা কম বলতে কিংবা অবাস্তব প্রতিশ্রুতি না দিতে। আমরা যারা টাকা খরচা করে ইশতেহার বিলিয়েছি, আমাদের টাকা উচ্ছন্নে যায়নি, সবাই কম-বেশি পড়েছে, পড়ে কেউ রেখে দিয়েছে ,কেউ ফেলে দিয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, আর প্রার্থীরা বাস্তবতা বেশি করে বুঝেছে এ জায়গায়, আপনি যতই প্রতিরাতে নাজিরাবাজার নিয়ে গিয়ে ভরপেট খাওয়ান না কেন, ভোটটা আপনি পাচ্ছেন না, সরি। পরিবর্তন আসুক, বুদ্ধির চর্চা হোক, প্রশ্ন জারি থাকুক! নির্বাচিতরা প্রশ্নের উপর থাকুক! জবাবদিহিতার সংস্কৃতির উত্থান ঘটুক, এইতো! এটাই চাই!