টিএসসিতে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলা সেই ছাত্রী বুথে ঢোকেন চারবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে টিএসসি কেন্দ্রের ব্যালটে আগে থেকেই ক্রস চিহ্ন থাকার অভিযোগ দেওয়া নারী শিক্ষার্থী চারবার বুথে প্রবেশ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। একই সঙ্গে বুথ থেকে বের হয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেও ওই শিক্ষার্থী আলাপ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এটিকে ‘সন্দেহজনক’ আখ্যা দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের দিন আনুমানিক সকাল ১১টা নাগাদ টিএসসি কেন্দ্র থেকে কেন্দ্র প্রধান আমাকে ফোনে জানান যে, একজন ছাত্রী (ভোটার) এক নম্বর টেবিল থেকে ব্যালট গ্রহণ করে বুথে প্রবেশ করেন। প্রায় এক মিনিটের বেশি সময় পর তিনি বুথ থেকে বের হয়ে দাবি করেন যে, তার একটি ব্যালটে দুটি প্রার্থীর পক্ষে পূর্ব থেকেই ক্রস চিহ্ন দেওয়া ছিল। ওই ছাত্রী ব্যালটটিতে ভোট প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানান।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে সেখানে উপস্থিত পোলিং অফিসার এবং ভোট ব্যবস্থাপকদের সহায়তায় তার কাছ থেকে চিহ্নিত ব্যালটটি সংগ্রহ করে আলাদা একটি প্যাকেটে সংরক্ষণ করা হয় এবং তাকে নতুন করে ব্যালটের ১ নম্বর পাতাটি প্রদান করা হয়। পরে তিনি পুনরায় বুথে প্রবেশ করে ভোট দেন এবং চলে যান।

বিবৃতিতে অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে অবহিত হওয়ার পরপরই আমি চিহ্নিত ব্যালটটি সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেই এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের অনুরোধ জানাই। পরে সেখানে উপস্থিত তিনজন শিক্ষককে আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি এবং তাদের বর্ণনার সঙ্গে কেন্দ্র প্রধানের বক্তব্যের মিল পাওয়া যায়। ফলে ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসিত হয় এবং প্রচলিত নিয়ম ও প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। পরবর্তীতে আমাদের হাতে ঘটনাটির ভিডিও ফুটেজ আসে।’

ফুটেজ পর্যবেক্ষণের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ছাত্রী চারবার বুথে প্রবেশ করেন। প্রথমবার আনুমানিক ৪০ সেকেন্ড, দ্বিতীয়বার আনুমানিক ৬৬ সেকেন্ড, তৃতীয়বার আনুমানিক ২ সেকেন্ড এবং চতুর্থবার আনুমানিক ১০ মিনিটেরও বেশি সময় বুথে অবস্থান করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ভোট দিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করেন। তবে ভোটকেন্দ্রে তার বারবার বুথে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতা আমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ ও সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’

সূত্র: বিডিনিউজ