কিডনির প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করাটা অত্যন্ত জরুরি। কিডনি শরীরের বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে বের করে। শরীরে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে এমনকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই বাড়ন্ত সমস্যার মূল কারণগুলির মধ্যে রয়েছে নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বাড়তে থাকা স্থূলতার সমস্যা এবং ওষুধের অসতর্ক ব্যবহার।
যত দিন যাচ্ছে বাংলাদেশে বাড়ছে কিডনির রোগের প্রকোপ। তরুণ থেকে প্রবীণ—সব বয়সের মানুষকেই প্রভাবিত করছে এই রোগ। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, এক জায়গায় বসে থাকার অভ্যাস, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ, সচেতনতার অভাব—সব মিলিয়ে কিডনি রোগের থাবা বড় হচ্ছে দিনে দিনে। যদিও এই সব থেকেই সুরক্ষিত থাকা সম্ভব যদি কিছু অভ্যাস নিয়মিত মেনে চলা যায়। তাহলে কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।
কেন বাংলাদেশে কিডনির রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে?
কিডনির প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করাটা অত্যন্ত জরুরি। কিডনি শরীরের বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে বের করে। শরীরে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে এমনকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই বাড়ন্ত সমস্যার মূল কারণগুলির মধ্যে রয়েছে নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বাড়তে থাকা স্থূলতার সমস্যা এবং ওষুধের অসতর্ক ব্যবহার। এই সবই কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলতে পারে কিডনির কার্যক্ষমতার উপরে।
কিডনির রোগের ধরনও বিভিন্ন—
১। ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD): যা ধীরে ধীরে কিডনির ক্ষতি করে। কিন্তু সেই ক্ষতি হয়ে ওঠে অপূরণীয়।
২। অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি (AKI): হঠাৎ কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া, যা বিশেষ করে জলশূন্যতা, সংক্রমণ বা অন্য কোনও ওষুধের প্রভাবে হতে পারে।
কিডনির খারাপ হওয়ার দিকে তা বুঝবেন কীভাবে?
কিডনির অসুখের একটা বড় অংশ কিডনিতে পাথর জমা। খনিজ পদার্থ জমে পাথরের আকার নেয় এমনকি মূত্রনালিতে বাধা সৃষ্টি করে।
কোন লক্ষণ দেখলে সাবধান হবেন?
গোড়ালি, পা বা মুখ ফুলে যাওয়া। রাতে বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন। সবসময় ক্লান্তি লাগা। খিদে কমে আসা। বমি বমি ভাব। প্রস্রাবে রক্ত দেখা দেখলে সতর্ক হতে হবে।
চিকিৎসা না করালে কিডনি রোগ থেকে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তাল্পতা, হাড়ের সমস্যা, স্নায়ুর ক্ষতি এবং শেষে কিডনি বিকল হয়ে ডায়ালিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিদিন কোন ৫ নিয়ম মানলে কিডনি রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব?
১. পর্যাপ্ত জল পান করুন – বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত জল পান করলে কিডনি সহজে বর্জ্য ছেঁকে ফেলে। প্রতিদিন অন্তত ১০–১২ গ্লাস জল পান করার চেষ্টা করুন।
২. রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন – ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের প্রধান কারণ। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সুষম খাদ্য, ওষুধ, ব্যায়াম এবং প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম—এই অভ্যাসগুলি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
৩. নোনতা ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমান – অতিরিক্ত লবণ কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করে, রক্তচাপ বাড়ায়। তাই প্রক্রিয়াজাত ও লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। পিৎজা, পাস্তা, বেকারি আইটেম, সোডা ও কোলা—এসব বাদ দিয়ে ঘরে তৈরি কম তেল, লবণ ও সংরক্ষণকারী-যুক্ত খাবার খান।
৪. অপ্রয়োজনীয় ওষুধ এড়িয়ে চলুন – বারবার ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ ব্যবহার কিডনির ক্ষতি করে। নিয়মিত কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন, নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক।