শরীর মালিশ করে না দেওয়ায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিন দিন পর গতকাল সোমবার মাদ্রাসায় গিয়ে শিশুটিকে অসুস্থ দেখতে পেয়ে তার মা সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেন। এর পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক মনির হোসেন পলাতক। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দাওয়াতুল কোরআন হাজী গিয়াসউদ্দিন প্রধান মাদ্রাসা ও এতিমখানায় গত শুক্রবার নির্যাতনের ওই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ষোলপাড়া গ্রামের ইসলাম মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন ওই মাদ্রাসায় আবাসিক থেকে নাজেরা শাখায় পড়াশোনা করে। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মাদ্রাসার শিক্ষক মনির হোসেন শরীর মালিশ করার জন্য ইমরানকে ডেকে নেন। ইমরান অসুস্থতার কথা বলে তাতে রাজি হয়নি। এতে শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে বেত ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি তাঁকে মারধর করেন। এতে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে ইমরানের মা মোসলিমা বেগম মাদ্রাসায় ছেলের খোঁজ নিতে গেলে তাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তিনি। মোসলিমা বেগম জানান, শরীর ম্যাসেজ করে না দেওয়ায় ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে তাঁর ছেলেকে নির্যাতন করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষক। এর পর ছেলেকে তিন দিন আটকে রাখার কারণে কোনোকিছু জানা সম্ভব হয়নি। সোমবার মাদ্রাসায় গিয়ে অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
দাওয়াতুল কোরআন হাজী গিয়াসউদ্দিন প্রধান মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ ইউনুস আলী জানান, তিনি মাদ্রাসায় ছিলেন না। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।