শ্রেণিকক্ষ থেকে টেনেহিঁচড়ে অফিসে নিয়ে পেটানো হলো শিক্ষককে

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চাঁদা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাইদার রহমানকে (৩২) টেনেহিঁচড়ে অফিস রুমে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে-ভাগ্নে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হলে একজনকে আটক করে পুলিশ।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে সহকর্মীরা শিক্ষক সাইদারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ইতোপূর্বে রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাব অপারেটর সাইদারের মোবাইল ফোনে ইউপি সদস্যর নাম ভাঙিয়ে ২ লাখ চাঁদা দাবি করেন। বিষয়টি সমাধানে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন।

সাইদার এ বিষয়ে প্রমাণ দিতে না পারায় মেম্বারের মানহানি হয়েছে মর্মে বিদ্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। বৈঠক বসার আগেই সোমবার সকালে মেম্বার তার ছেলে ও ভাগ্নেকে নিয়ে বিদ্যালয়ে ঢুকে সাইদারকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, সেখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক ফজলে এলাহী বলেন, শফিকুল মেম্বার পূর্বশত্রুতার জেরে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষক সাইদারকে মারধর করেছেন। আমরা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মইনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মেম্বারের ছেলেকে আটক করা হয়েছে।