ডাকসু নেতাকে ক্যান্টিনে জরিমানা করার অধিকার কে দিল, প্রশ্ন হামিমের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান ও কর্মচারীদের হাফপ্যান্ট পরে কাজ করাসহ নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগে নবনির্বাচিত হল সংসদ ভিপি আজিজুল হকের তোপের মুখে পড়েছেন ক্যাফেটেরিয়া ম্যানেজার। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হাফপ্যান্ট পরে কাজ করা যাবে না। এছাড়া খাবারের মান খারাপ হওয়ায় ক্যাফেটেরিয়া ম্যানেজারকে জরিমানা করার খবরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চাউড় হয়েছে।

সাম্প্রতি এ বিষয়ে একটি টকশোতে অংশ নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের পরাজিত জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম।

তানভীর বারী হামিম বলেন, আমরা যদি বিষয়টি পলিটিক্যাল সেন্সে দেখি অনেককে দেখেন হাফপ্যান্ট কেন পড়তে মানা করেছে, সেটা নিয়ে অনেকেই কিন্ত প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্ত আমার মনে হয় যে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে, একজন ছাত্র রাজনীতিপ্রেমী হিসেবে আমাদের প্রতিবাদটা হওয়ার কথার ছিল, যে না- আসলেই তিনি যে প্রতিবাদটা করেছেন, প্রতিবাদ করাটিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সাধুবাদ জানাই। কিন্ত প্রতিবাদ করার যে ভাষা সেটি আরও শালীন বা মার্জিত করা যেত। কেননা আপনি জানেন যে, আমাদের হলগুলোতে খাবারের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। আমাদের শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ পুষ্টিহীনতায় ভোগে। হলের ক্যান্টিনের মালিকরা তারা কিন্তু বিভিন্ন সময় তাদের সদিচ্ছার অভাবে এগুলো হয়ে থাকে। আমি নিজেও কিন্তু এই নির্বাচনের আগে বিভিন্ন হলে হলে, ক্যান্টিনে ক্যান্টিনে গিয়ে খাবারের মান দেখার চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, একটি কথা হলো ওই খানে যারা গিয়েছেন তাদের প্রতিবাদকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্ত প্রতিবাদের ভাষাটা আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল। আরেকটি বিষয় হলো—এই যে হলের ক্যান্টিনে গিয়ে জরিমানা, জরিমানার এখতিয়ার তো ডাকসুর ভিপি, জিএস এবং প্রেসিডেন্টেরও নাই।

তিনি আরও বলেন, ডাকসুর হল সংসদের নেতাদের কাজ হলো আমাদের হলে কী কী সমস্যা হচ্ছে, সেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা। সমস্যা চিহ্নিত করে হল প্রশাসনকে দেখানো এবং সমস্যা প্রতিকারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা, এই যে দাবি-দাওয়া গুলো সেগুলা হল প্রশাসনের মাধ্যমে আদায় করা। তাছাড়া কিন্ত আমি ব্যক্তি একজন ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে যেতে পারি না।

সেই এখতিয়ার ডাকসুর গঠনতন্ত্রেও আমার নেই, ডাকসুর ক্ষমতাবলেও নেই। এজন্য আমি তাদের প্রতিবাদকে স্বাগত জানিয়েছি। কিন্ত তারা যে জরিমানা করেছে এটা ঠিক হয়নি। এবং এটা একধরনের এখতিয়ার বর্হিভূত কর্মকাণ্ড হয়েছে।

এ সময় ডাকসুর হল সংসদের নেতাদের হামিম অনুরোধ জানান যেন, তারা এখতিয়ার বর্হিভূত কোনো কাজ না করে। বলেন, ক্ষমতার ভেতর থেকে আমাদের প্রতিবাদগুলো নিশ্চিত করবো।

এমন কোনো কাজ করবো না যার জন্য ডাকসু কলুষিত হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কলুষিত হবে।